বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...

গোয়ালঘরে মিললো গৃহবধূর মরদেহ, পলাতক শ্বশুর

মাহমুদুর রহমান মনজু ,লক্ষ্মীপুর:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৬ মার্চ, ২০২২
  • ৩৫৪ বার পঠিত

লক্ষ্মীপুরে গোয়ালঘর থেকে শিমু আক্তার (২৩) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় জমায়।

বুধবার (১৬ মার্চ) ভোরে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামের হারিছ মাঝির বাড়ির গোয়ালঘর থেকে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে শ্বশুর হারিছ মাঝি পলাতক।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় আট বছর আগে চরমনসা গ্রামের ওমান প্রবাসী আবুল বাশারের সঙ্গে পাশের কুশাখালী গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে শিমুর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে শাহাদাত হোসেন নামের ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শিমুর সঙ্গে প্রায়ই শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদরা ঝগড়া করতেন।

মঙ্গলবার রাতেও মোবাইলে পরিবারের লোকজন বাশারের কাছে নালিশ দেয়। এর আগে শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যরাও তাকে গালমন্দ করেন। রাতেই বাশার শ্বশুর-শাশুড়িকে ফোন দিয়ে শিমুকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তার সঙ্গে আর সংসার করবেন না বলেও জানান তিনি। এ ঝগড়ার কারণেই শিমুকে তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদরা হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে গোয়ালঘরে ঝুলিয়ে রাখে।

শিমুর মা বকুল বেগম বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এখন আত্মহত্যা বলে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

শিমুর ছোট ননদ সাবনুর আক্তার বলেন, আমাদের সঙ্গে কোনো ঝগড়া হয়নি। রাতে একসঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান তিনি। ফজরের নামাজের সময় উঠে ভাবির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়েছি। পরে তার পরিবারকে আমরা খবর দিয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Deshjog TV