বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...
শিরোনাম :
বিদ্যুতের কর্মচারীর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ; বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য মাগুরায় আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা ভেঙে দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ শ্রীপুরে এতিমখানা জামে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শ্রীপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ শ্রীপুরে দলীয় ব্যানারে সরকারি খাল দখল চট্টগ্রামে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা মাগুরায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন লক্ষ্মীপুরে বিলুপ্তির পথে ‘ভেসাল জাল’ সাংবাদিক ফরিদ ও সাংবাদিক মনজুর মা আর নেই, সর্বস্তরে শোকের ছায়া বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরকারীদের রেহাই নেই: কাউন্সিলর জসিমের হুঁশিয়ারি

চাকরির জন্য গোপনে অন্য মেয়েকে বিয়ে, প্রেমিকার আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২
  • ৪৪৭ বার পঠিত

চার বছর প্রেম করার পরও গোপনে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন প্রেমিক। বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়ি গিয়ে লাঞ্ছিত হন কলেজছাত্রী। বাবা-মাও বকাঝকা করেন। সেই অভিমানে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায়। তরুণী (১৮) উপজেলার খানসামা মহিলা কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে একই উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের বানগাঁও এলাকায় বদিরুজ্জামানের ছেলে আব্দুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ওই কলেজছাত্রীর। আব্দুর রহমান হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বিজিবিতে চাকরি পান। আর তরুণী এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

বিজিবিতে চাকরি হওয়ার পর প্রেমিকের গোপন বিয়ের খবর জানতে পারেন ওই কলেজছাত্রী। বিয়ে গোপন রেখে কলেজছাত্রীর সঙ্গেও সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে আব্দুর রহমানকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। আব্দুর রহমান তখন তিনি যে বিবাহিত সেটি বোঝানোর জন্য কলেজছাত্রীকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু পরিবার মেনে নেয়নি। উপরন্তু তাঁকে লাঞ্ছিত করে। এ অবস্থায় এক দূর সম্পর্কের চাচা কলেজছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

এ নিয়ে বাড়ির লোকজনও কলেজছাত্রী বকাঝকা করেন। আজ জুমার নামাজের সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শোয়ার ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে বাড়ির লোকজন টের পেলে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

কলেজছাত্রীর বাবা জানান, মেয়ের সঙ্গে ওই ছেলের সম্পর্কের কথা তাঁরা জানতেন। তবে ছেলেটি যে এর মধ্যে বিয়ে করেছেন সেটি তাঁদের জানা ছিল না। বিয়ের বিষয়টি বোঝানোর জন্যই মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যান ওই ছেলে। কিন্তু তাঁর পরিবারের লোকজন মেয়েকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন কলেজছাত্রীর বাবা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যৌতুক হিসেবে চাকরির জন্য টাকা সংগ্রহ করতেই আব্দুর রহমানকে গোপনে বিয়ে দেন তাঁর পরিবার। বিজিবিতে বিবাহিতদের নেওয়া হয় না বলে তাঁরা বিয়েটি গোপন রেখেছিলেন। চাকরি নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁরা এ বিয়ের কথা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে খানসামা থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ পাইনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Deshjog TV