চট্টগ্রামের পটিয়ায় ছেলে মাঈনুদ্দিনের ছোঁড়া গুলি মাথায় লেগে মা জেসমিন আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। নিহত জেসমিন পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র শামসুল আলমের স্ত্রী।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বেলা পৌনে ২টার দিকে পটিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেয়র শামসুল আলম মাস্টারের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনার পরপরই ঘাতক ছেলে পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গেছে, মাত্র ২৩ দিন আগে মৃত্যু হয় পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র শামসুল আলমের। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মাঈনুদ্দিন মেজো। শামসুল আলমের মৃত্যুর পর তার একাউন্টে থাকা টাকার জন্য মাকে চাপ দিতে থাকেন মাঈনুদ্দিন। কিন্তু শামসুল আলমের সেই একাউন্টের নমিনি হচ্ছেন কন্যা জেসমিন আক্তার।
তাই মাঈনুদ্দিন চাইলেও বোনের অনুমতি ছাড়া টাকাগুলো নিতে পারছিলেন না। তাই বেশ কয়েকদিন ধরে নমিনি পরিবর্তন করে মাঈনুদ্দিনকে নমিনি করার জন্য মা ও বোনের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়ান মাঈনুদ্দিন। কিন্তু ছেলে মাদকাসক্ত হওয়ায় নমিনি দিতে রাজি হননি মা জেসমিন। সেই রাগে মাথায় গুলি করে মাকে হত্যা করেন মাঈনুদ্দিন।
সাবেক মেয়র শামসুল আলমের একটি লাইসেন্স করা শটগান ছিল। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডে সেই লাইসেন্স করা অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে নাকি অন্য অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পটিয়া থানা পুলিশ।
ঘটনার পর ঘরে তল্লাশি চালিয়ে একটি এয়ারগান ও দশ রাউন্ড শটগানের গুলি জব্দ করে পুলিশ। তবে গুলি উদ্ধার করলেও লাইসেন্স করা শটগানটি উদ্ধার করা যায়নি।
ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে পটিয়া থানার ওসি তদন্ত রাশেদুল ইসলাম বলেন, ছেলের গুলিতে মায়ের মৃত্যু হয়। পারিবারিক কারনেই এ ঘটনা ঘটে। আমরা অভিযুক্ত মাঈনুদ্দিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। গ্রেফতারের পর আসল কারণ জানা যাবে।
ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় জেসমিন আকতারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পটিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে চট্টগ্রাম মেডিকেলে আনার পথেই মৃত্যু হয় তার।