পাঁচ বছর বয়সী চাচাতো বোনকে মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তারকৃত আসামি শাহাদাত হোসেন (২২)। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে যে, হত্যার পর পুনরায় শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন।
আজ সোমবার সকালে ওসি বলেন, আসামি শাহাদাত স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করার পর নিজের বাবার আড়ত দেখাশোনা করত। এর পাশাপাশি বাড়িতে তাঁর একটি মুরগির খামার ছিল।
১৬৪ ধারায় জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, গ্রেপ্তারের পর গতকাল রোববার বিকেলে আসামি শাহাদাত হোসেনকে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করানো হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নবনীতা গুহ ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে শাহাদাত জানান, শিশু বোনের ওপর দীর্ঘদিন ধরে কু-নজর ছিল তাঁর (চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন)। এরই সূত্র ধরে গত ২৪ মার্চ দুপুরে বোনকে বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিজের ঘরে নিয়ে যায় শাহাদাত। পরে জোরপূর্বক শিশুটির মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে একটি পলিথিনে মুড়িয়ে বস্তাবন্দী করে মরদেহটি পার্শ্ববর্তী বাড়ির টয়লেটের সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয় শাহাদাত। পুরো ঘটনা সে একাই ঘটিয়েছে বলেও স্বীকার করেছেন।
গ্রেপ্তারের পর শাহাদাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে আসমার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেলে আসমার মরদেহ তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে আসামি শাহাদাতকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, গতকাল বিকেলে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় হত্যাকারী শাহাদাত হোসেনের ফাঁসির দাবিতে মেঘা গ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্টুডেন্টস ডেভেলপমেন্ট ফোরাম। এতে নিহতের স্বজন, স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন।