মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন, তখন এতিমের সম্পদও নিরাপদ ছিল না। এতিমের টাকা তারা দুই মায়-পুত চুরি করে খেয়েছে।
সেজন্য তারা দণ্ডিত হয়েছে। এজন্য আইনগতভাবে তারা কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। ’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অনুষ্ঠিত জাতীয় শ্রমিক লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘খুনি মোস্তাক, খুনি জিয়া ভেবেছিল শেখ মুজিবকে হত্যা করলে তার নাম নেওয়ার কেউ থাকবে না। তারা তার নাম নিশানা মুছে দিতে চেয়েছিল। মহানায়কের প্রতিপক্ষ হিসেবে খলনায়ককে দাঁড়া করেছিল। তারা ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ওদের নাম নিশানা মুছে গেছে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব টুঙ্গিপাড়ার কবর থেকে সারা বাঙালি জাতিকে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন, সারা বাংলাদেশকে পরিচালিত করছেন। তার রক্তের উত্তরাধিকারী, আদর্শের উত্তরাধিকারী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ’
আরও পড়ুন: ম্যাসাজ পার্লারে যুবকের সাথে যা করলো তরুণী (ভিডিওসহ)
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিরা এ দেশকে ২৯ বছর চালিয়েছে। জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া মিলে ২৯ বছর বাংলাদেশ পরিচালনা করেছে। আর আওয়ামী লীগ সাড়ে ২১ বছর। তাদের ২৯ বছর সারা দেশের কোনো উন্নয়ন হয়নি। শেখ হাসিনার আমলে সব সেক্টরেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আর ওদের আমলে উন্নয়ন হয়নি কেন, তা জনগণ জানেন। ’
শ্রমিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আজ বাংলার শ্রমজীবী মানুষ ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন। তাদের অধিকার ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে শেখ হাসিনার মাধ্যমে। ’
জাতীয় শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুর কুতুব উদ্দিন মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংসদ সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কে এম আযম খসরু, সহসভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খান সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনিচুর রহমান, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খানসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
এর আগে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জাতীয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা আলোচনা সভায় যোগ দেন।