বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...
শিরোনাম :
বিদ্যুতের কর্মচারীর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ; বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য মাগুরায় আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা ভেঙে দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ শ্রীপুরে এতিমখানা জামে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শ্রীপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ শ্রীপুরে দলীয় ব্যানারে সরকারি খাল দখল চট্টগ্রামে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা মাগুরায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন লক্ষ্মীপুরে বিলুপ্তির পথে ‘ভেসাল জাল’ সাংবাদিক ফরিদ ও সাংবাদিক মনজুর মা আর নেই, সর্বস্তরে শোকের ছায়া বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরকারীদের রেহাই নেই: কাউন্সিলর জসিমের হুঁশিয়ারি

শিশুর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে উল্টো মামলা খেলেন দুই এসআই, বিচারক নিজেই বাদি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৪২ বার পঠিত

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের, মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে  চট্টগ্রামে মামলা করেছেন এক বিচারক।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলার আবেদন করেন শিশু আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ চট্টগ্রামের বিচারক ফেরদৌস আরা।

আসামিরা হলেন- পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ও সুবীর পাল।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২১ এপ্রিল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দুটি সোনার বার পাচারের অভিযোগে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার বাটারফ্লাই পার্ক থেকে মো. নাজমুল হাসান জুয়েল নামে এক শিশুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পরের দিন ওই শিশুর বিরুদ্ধে এসআই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সোনার বার পাচারের মামলা করেন।

বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান পতেঙ্গা থানার এসআই সুবীর পাল। তদন্ত শেষে শিশু নাজমুলকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ৩ অক্টোবর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের গত ৪ সেপ্টেম্বর শিশুটি নির্দোষ বলে রায় দেন আদালত।

মামলাকে সত্য প্রামাণিত করতে এজাহারকারী তার দায়েরকৃত মামলার সমর্থনে আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেন। ডি.ডব্লিউ-২ কর্তৃক দেওয়া সোনার বারের কাগজপত্র উপস্থাপন করা সত্ত্বেও তা আমলে না নিয়ে মামলা দায়ের করে ওই পুলিশ সদস্য।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজস্ব অফিস হতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ না করে মামলার বাদি পুলিশ কর্মকর্তাকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্তকারী কর্মকর্তা। প্রকৃত সত্য জানার পরও মিথ্যা প্রতিবেদনের স্বপক্ষে শপথ গ্রহণপূর্বক আদালতে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করেন তিনিও। এ মামলায় শিশুটি সম্পূর্ণ নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল তারিখ থেকে ১ মাস ৬ দিন জেল হাজতে আটক থাকার পর একই বছর ২৮ মে জামিন পান।

মিথ্যা মামলায়, মিথ্যা পুলিশের রিপোর্ট ও সাক্ষী দেওয়ায় এসআই আনোয়ার হোসেন ও সুবীর পালের বিরুদ্ধে বিচারকের করা মামলাটি গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Deshjog TV