বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...
শিরোনাম :
বিদ্যুতের কর্মচারীর বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ; বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য মাগুরায় আদালতের আদেশ অমান্য করে স্থাপনা ভেঙে দেওয়াল নির্মাণের অভিযোগ শ্রীপুরে এতিমখানা জামে মসজিদের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শ্রীপুরে আদালতের আদেশ অমান্য করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ শ্রীপুরে দলীয় ব্যানারে সরকারি খাল দখল চট্টগ্রামে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা মাগুরায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠন লক্ষ্মীপুরে বিলুপ্তির পথে ‘ভেসাল জাল’ সাংবাদিক ফরিদ ও সাংবাদিক মনজুর মা আর নেই, সর্বস্তরে শোকের ছায়া বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাংচুরকারীদের রেহাই নেই: কাউন্সিলর জসিমের হুঁশিয়ারি

শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার পর ২১ বছর ছদ্মবেশে ছিলেন আজিজুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ মার্চ, ২০২২
  • ৪৬৩ বার পঠিত

২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন খিলক্ষেত বাজার মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামির নাম মো. আজিজুল হক রানা ওরফে শাহনেওয়াজ ওরফে রুমান (৪৪)। তিনি হরকাতুল জিহাদের মুফতি হান্নানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

সিটিটিসি জানায়, গ্রেপ্তার আজিজুল হক দীর্ঘ ২১ বছর ছদ্মবেশে নানা পেশার আড়ালে নিজেকে আত্মগোপনে রাখেন। এভাবে তিনি অত্যন্ত গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কয়েকবার দেশ ত্যাগের পরিকল্পনায় ব্যর্থ হয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ভিন্ন ভিন্ন নামে আত্মগোপনে ছিলেন। নিজেকে লুকিয়ে রাখতে কখনো টেইলারিং, কখনো মুদি দোকানি, বই বিক্রেতা, গাড়িচালক ও সবশেষ প্রিন্টিং ও স্ট্যাম্প প্যাড বানানোর কাজ করতেন।

গ্রেপ্তারের সময় আজিজুল হকের কাছ থেকে জিহাদি বই, দুটি মোবাইল ফোনসেট, পেনড্রাইভ ও কম্পিউটারের হার্ডডিক্স উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।

আসাদুজ্জামান বলেন, ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার সফরসঙ্গীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মাটির নিচে ৪০ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। এছাড়া হেলিপ্যাডের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের সক্রিয় সদস্যরা। গ্রেপ্তার আজিজুল হক রানা মুফতি হান্নানের সঙ্গে বোমা পুঁতে রাখার দায়িত্বে ছিলেন। ঘটনাটি প্রকাশ পেলে এবং বোমা দুটি উদ্ধারের পর আজিজুল হক কোটালীপাড়া থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন।

আজিজুল হক দীর্ঘ ২১ বছর ছদ্মবেশে নানা পেশার আড়ালে নিজেকে আত্মগোপন করেন। ২০০৭ সালে নিজের পরিচয় গোপন করে বিয়ে করেন তিনি।

তাকে গ্রেপ্তার করতে এতো সময় কেন লাগলো এমন প্রশ্নে আসাদুজ্জামান বলেন, আজিজুল হক ঘন ঘন জায়গা পরিবর্তন করতেন। ২১ বছর লাগলেও ব্যর্থতা নয় সফলতা এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট সাকসেসফুল হয়েছে। এই সংগঠনের সব শীর্ষ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় আরও চারজন- মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান পালিয়ে আছেন। তাদেরও আমরা গ্রেপ্তার করতে পারবো বলে আশা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Deshjog TV