পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এনামুল কবীর ওরফে সিপনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ দেওয়ার কথা বলে এক নেতার কাছে মাদকের জন্য টাকা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ–সংক্রান্ত কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ৬ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ওই অডিও রেকর্ডে বলতে শোনা যায়, কমিটি অনুমোদনের জন্য ওই টাকা দিয়ে সংগঠনের জেলা কমিটির এক নেতাকে ফেনসিডিল কিনে দিতে হবে।
তবে এনামুল কবীর এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, অডিওর ওই কণ্ঠ তাঁর নয়। অভিযুক্ত এনামুল কবীর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম লিটনের ছোট ভাই।
অডিও রেকর্ডে শোনা যায়, উপজেলার সেখমাটিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব পদপ্রত্যাশী মো. পলাশ শেখ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এনামুল কবীরকে মুঠোফোনে কল দেন। এরপর পলাশ শেখের কাছে কমিটি অনুমোদনের জন্য ওই প্রান্তের ব্যক্তি টাকা দাবি করেন। ওই টাকা দিয়ে পিরোজপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডাইল (ফেনসিডিল) কিনে দিতে হবে। এ ছাড়া কেন্দ্র থেকে যখন স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি (জেলা ও উপজেলা) গঠনের সময় কেন্দ্রীয় নেতাদেরও টাকা দেওয়া হয়েছে বলে ওই প্রান্ত থেকে বলা হয়। তবে ওই অডিওতে পলাশ শেখের কাছে কত টাকা দাবি করা হয়েছে, সেটা শোনা যায়নি।
এ বিষয়ে পলাশ শেখ অভিযোগ করে বলেন, ‘ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই কথোপকথন আমার ও এনামুল কবীরের। তখন আমার কাছে এনামুল কবীর দুই হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। এনামুল কবীর এই টাকা দিয়ে জেলার নেতাদের ফেনসিডিল কিনে দিয়ে কমিটি অনুমোদন করবেন বলে জানান। তিনি পদ দেওয়ার কথা বলে আরও অনেকের কাছে টাকা নিয়েছেন বলে শুনেছি।
এদিকে এমন অভিযোগ ওঠার পর গত ২২ জুলাই এনামুল কবীরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। এই নোটিশে বলা হয়, কথোপকথনটি ২০ জুলাইয়ের। তবে দু–তিন দিন ধরে অডিও রেকর্ডটি পিরোজপুর ও নাজিরপুরের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিষয়টি আলোচনায় আসে।