‘আমার কিছু কথা আছে। আমার কথা শুনতে হবে। আমার কথা না শুনলে গলায় ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করবো।’ বিচারক মামলার শুনানি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মো. জাফরের কথাগুলো হয়তো তার কান পর্যন্ত পৌঁছায়নি। আর তাতে সত্যি সত্যিই গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই যুবক। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে এ ঘটনা ঘটে।
আদালতের এজলাসে আত্মহত্যার চেষ্টা করা মো. জাফর নগরীর সদরঘাট থানার মাদারবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। তবে ওই যুবক মাদকাসক্ত ও মানসিক বিকারগ্রস্থ বলে জানা গেছে। জাফর নামে ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ৩০ বছর।
পুলিশ জানায়, আটক যুবক কোনো মামলার আসামি না। তিনি কিছুটা মাদকাসক্ত ও মানসিক বিকারগ্রস্থ। এজলাসে ঢুকে তিনি বিচারকের সঙ্গে দেখা করতে চান। তাকে বের করে দেয়ার চেস্টা করায় পকেট থেকে ছুরি বের করে গলায় ঠেকিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এসময় কোর্টপুলিশ তাকে আটক করে। তাকে আদালতের হাজতখানায় বন্দি রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোর্ট চলার সময় হঠাৎ এক যুবক এজলাসে প্রবেশ করে বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলে যে, তার কিছু কথা আছে। বিচারক শুনানি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তার কথা শুনতে চাননি। আর কথা না শোনায় ওই যুবক গলায় ছুরি চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ তাকে আটক করে হেফাজতে নেয়। ছুরিতে তার গলায় হালকা আচর লেগেছে।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) অহিদুল্লাহ সরকার বলেন, এজলাসে পাগলামি করার ঘটনায় এক মানসিক বিকারগ্রস্থ ব্যক্তিকে আটক করে আমাদের হেফাজতে রেখেছি। তার নাম জিজ্ঞাসা করার পর সে আমাদের বলছে আপনাদের সঙ্গে আমি কী কথা বলবো। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।
তিনি আরও জানান, আদালত তাকে পাবনায় মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর জন্য সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমরা সেই মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা নেব।