শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...

ঘর ভাঙলো একসঙ্গে ২ প্রেমিকাকে বিয়ে করা সেই রনির!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৪ মে, ২০২২
  • ৬৭১ বার পঠিত

পঞ্চগড় আটোয়ারী উপজেলায় দুই প্রেমিকাকে পাশাপাশি বসিয়ে বিয়ে করে ভাইরাল হয়েছিলেন রোহিনী চন্দ্র বর্মণ রনি (২৫) নামের এক যুবক। কিন্তু দুইজনকে একসঙ্গে নিয়ে সংসার সাজাতে ব্যর্থ হলেন রোহিনী৷ বিয়ের মাত্র ২২ দিনের মাথায় দ্বিতীয় স্ত্রী মমতা রানীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়েছেন তিনি।

আজ শনিবার (১৪ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মমতা রানীর ভাই পলাশ চন্দ্র রায়। এ সময় পলাশ চন্দ্র রায় জানান, গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে এই বিচ্ছেদ হয়।

এর আগে, গত ২০ এপ্রিল রাতে জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষিদ্বার এলাকায় জামিনী চন্দ্র বর্মনের ছেলে রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি তার বাড়িতে ইতি রানী (২০) ও মমতা রানীকে (১৮) পাশাপাশি বসিয়ে একসঙ্গে বিয়ে করে ঘরে তুলেন৷

এদিকে বিয়ের মাত্র ২০ দিনের মাথায় বিচ্ছেদ কেন এর কারণ জানা যায়নি। মুখ খুলেননি মমতা রানী। এ বিষয়ে একাধিকবার রোহিনীর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি৷ তবে মমতার পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন মমতা রানীর ভাই পলাশ রায়৷

এ বিষয়ে মমতার ভাই পলাশ রায় বলেন, আর বাড়াবাড়ি করতে চাই না। আমার বোনের ভবিষ্যৎ বিষয়ে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি আমরা।

এদিকে রোহিনীর বাবা জামিনী চন্দ্র বলেন, মমতা স্বেচ্ছায় আমার ছেলেকে তালাক দিয়েছে। এতে আমরা অমত করিনি।

উল্লেখ্য, বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়া পাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানীর (২০) সাথে রোহিনীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিনের৷ তারা একপর্যায়ে মন্দিরে গিয়ে আগে গোপনে বিয়েও করেন৷ তবে বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন দুজনই।

এর মধ্যে নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন লক্ষীদ্বার গ্রামের টোনো কিশোরের মেয়ে মমতা রানীর (১৮) সাথে। একপর্যায়ে মমতা রানীর সঙ্গে গত ১২ এপ্রিল রাতে দেখা করতে যান রোহিনী। সেখানে দুজনকে একত্রে দেখে ফেলেন মমতার পরিবারের লোকজন। আটকে রাখেন রোহিনীকে। পরে ১৩ এপ্রিল বিয়ের ব্যবস্থা করেন তাদের। ওদিকে, রোহিনী বর্মনের বিয়ের খবর শুনে তার বাড়িতে অনশন শুরু করেন ইতি রানী। পরে ২০ এপ্রিল রাতে রোহিনীর বাড়িতে পুনরায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুই বিয়ে একসঙ্গে সম্পন্ন হয়।

এ বিষয়ে বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিচ্ছেদের বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য আমরা পাইনি৷ দুই পক্ষের কেউ কিছু জানায়নি৷ তবে লোকমুখে শুনেছি মেয়েটা নিজেই নাকি ছেলেকে তালাক দিয়েছে৷

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Deshjog TV