শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫২ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...

চবি শাটলে আবারও ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্ত আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২
  • ৩৬৫ বার পঠিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেনে ফের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বাবুল নামের একজনকে আটক করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল সোয়া সাতটার দিকে বটতলী রেলস্টেশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী বিশ্বিবদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্তের নাম মো. বাবুল। তার বাড়ি সিলেটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। পাশাপাশি রেলওয়ে থানায়ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

পুরো ঘটনা বর্ণনা দিয়ে ভিক্টমের পক্ষে তাঁর সহপাঠী ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেন, আমি অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আজকে ২৮শে জুন সকাল ৭ টা১০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনে দ্বিতীয় বগিতে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে সাতটার ট্রেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে গমনের উদ্দেশ্যে সকাল সাতটার দিকে দ্বিতীয় বগিতে উঠি। বগিতে সামনের দরজার কাছাকাছি দুইজন বহিরাগত ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। আরেকজন বগিতে হাঁটাহাঁটি করছিল। তার উদ্দেশ্য অসৎ অনুমান করে আমি সাতটা পাঁচ মিনিটে আমার সহপাঠীকে ফোন করি। পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে দ্রুত আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করি। কিন্তু ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। ঠিক সেই মুহূর্তই যে বহিরাগত হাঁটাহাঁটি করছিল সে আমার মুখ চেপে ধরে ও আমার বুকে হাত দেয় এবং সামনে থেকে দুই হাত দিয়ে চেপে ধরে। আত্মরক্ষার্থে আমি তাকে লাথি মারি এবং চিৎকার করি। ঠিক ওই মুহূর্তে লোকটি তার হাত আমার মুখ থেকে সরিয়ে নেয় এবং তখন আমি চিৎকার করি। তখনই বগি থেকে লোকটি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। তখন সামনে যে দুইজন ঘুমন্ত ছিল আমার চিৎকার শুনে লোকটিকে ধরতে যায়। আমি ট্রেন থেকে নেমে চিৎকার করতে থাকি। তখন স্টেশনে অবস্থানরত একজন আমাকে জানায় যে লোকটিকে ধরা হয়েছে। লোকটিকে ৮নং এ প্ল্যাটফর্মে ধরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ টার ট্রেনের প্ল্যাটফর্মের সামনে লোকটিকে আনা হয়। লোকটিকে রেলওয়ে পুলিশের লোকজন মারধর করে। আমি ভিডিও ধারণ করার সময় পুলিশ আমাকে বাঁধা দেয়। তারপর লোকটিকে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় কর্মরত কোনো অফিসার ছিল না। তাঁদের ফোন করে আনা হয়। পুলিশ আমার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করবে বলে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর জিজ্ঞেস করে। এরপর পুলিশ আমাকে ঘটনাটির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে নিষেধ করে এবং পুলিশের ভাষ্যমতে, “এতে আপনার মানহানি হতে পারে। এই ব্যাপারে আপনার সিক্রেসি মেন্টেইন করা উচিত। এটা আপনার মান-সম্মানের ব্যাপার।” তারপর তারা আমাকে এজহার করে যেতে বলে কিন্তু পরবর্তীতে আমার থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ বা স্বাক্ষর নেয়নি। আমি একই দিনে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করি। প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর ওনারা আমাদেরকে গিয়ে মামলা করে আসতে বলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বলেন, সকালে বটতলী রেলস্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বহিরাগত নেশাগ্রস্ত টাইপের এক লোক হেনস্তা করে বলে আমাদের ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগে জানিয়েছে। আমরা রেলওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। আমাদের একজন সহকারী প্রক্টর থানায় গিয়ে বিষয়টি তদারকি করছেন।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, আমরা এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছি। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Deshjog TV