বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৪ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...
শিরোনাম :
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক ছাত্র নেতা মিজানুর রহমান মাগুরাবাসিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কাজী রফিকুল ইসলাম মাগুরাবাসিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাগুরা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আহম্মদ পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাগুরা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাকিব পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শরিয়ত উল্লাহ বঙ্গবন্ধু ল’টেম্পল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইন বদলি আবেদন শুরু শনিবার চট্টগ্রামে ১০ জুয়াড়ি গ্রেফতার চট্টগ্রামে চোরাই সিএনজিসহ গ্রেপ্তার ২ চট্টগ্রামে চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার ৪

চাকরির জন্য গোপনে অন্য মেয়েকে বিয়ে, প্রেমিকার আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২
  • ৫১০ বার পঠিত

চার বছর প্রেম করার পরও গোপনে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন প্রেমিক। বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়ি গিয়ে লাঞ্ছিত হন কলেজছাত্রী। বাবা-মাও বকাঝকা করেন। সেই অভিমানে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার দুপুরে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায়। তরুণী (১৮) উপজেলার খানসামা মহিলা কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে একই উপজেলার আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের বানগাঁও এলাকায় বদিরুজ্জামানের ছেলে আব্দুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় ওই কলেজছাত্রীর। আব্দুর রহমান হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বিজিবিতে চাকরি পান। আর তরুণী এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

বিজিবিতে চাকরি হওয়ার পর প্রেমিকের গোপন বিয়ের খবর জানতে পারেন ওই কলেজছাত্রী। বিয়ে গোপন রেখে কলেজছাত্রীর সঙ্গেও সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে আব্দুর রহমানকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। আব্দুর রহমান তখন তিনি যে বিবাহিত সেটি বোঝানোর জন্য কলেজছাত্রীকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু পরিবার মেনে নেয়নি। উপরন্তু তাঁকে লাঞ্ছিত করে। এ অবস্থায় এক দূর সম্পর্কের চাচা কলেজছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

এ নিয়ে বাড়ির লোকজনও কলেজছাত্রী বকাঝকা করেন। আজ জুমার নামাজের সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শোয়ার ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে বাড়ির লোকজন টের পেলে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

কলেজছাত্রীর বাবা জানান, মেয়ের সঙ্গে ওই ছেলের সম্পর্কের কথা তাঁরা জানতেন। তবে ছেলেটি যে এর মধ্যে বিয়ে করেছেন সেটি তাঁদের জানা ছিল না। বিয়ের বিষয়টি বোঝানোর জন্যই মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে যান ওই ছেলে। কিন্তু তাঁর পরিবারের লোকজন মেয়েকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন কলেজছাত্রীর বাবা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যৌতুক হিসেবে চাকরির জন্য টাকা সংগ্রহ করতেই আব্দুর রহমানকে গোপনে বিয়ে দেন তাঁর পরিবার। বিজিবিতে বিবাহিতদের নেওয়া হয় না বলে তাঁরা বিয়েটি গোপন রেখেছিলেন। চাকরি নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁরা এ বিয়ের কথা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে খানসামা থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ পাইনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs