লক্ষ্মীপুরে অনুদানের জন্য চিকিৎসা সনদ জালিয়াতি করার ঘটনায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (দপ্তরি) মো. নুর হোসেনকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত রায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ দণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত নুর হোসেন সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি ও একই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় কিডনি লিভারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তদের জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে অনুদান দেয় সরকার। এ অনুদান পাওয়ার জন্য নূরহোসেন স্ত্রী হাসিনা বেগম ও বড় ভাই মোঃ মনজু আবেদন ফরম নেন।ওই ফরমে সই নেওয়ার জন্য তিনি নূরহোসেন সোমবার (৪এপ্রিল) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আহাম্মদ কবিরের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় ডাক্তারি কাগজ পত্র সন্দেহ হলে সিভিল সার্জন নোয়াখালী সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ফোন করে বিষয়টি জানতে চান।সে খান থেকে নিশ্চিত করা হয় ওই ক্রমিকের ডাক্তারি কাগজপত্র গুলো শাহাবুদ্দিন নামের এক ব্যাক্তির।পরে প্রতারণার বিষয়টি লক্ষীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা সমাজ সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক নূরুল ইসলাম পাটওয়ারি কে জানানো হয়।
খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন ও সহকারী কমিশনার ভূমি ঘটনাস্হলে যায়।এসময় অপরাধ স্বীকার করায় নূরহোসেন কে ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।