চট্টগ্রাম সিটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ‘ঝাড়ফুঁক’ করে জিন তাড়ানোর নামে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে আশিকুল ইসলাম নামে মসজিদের এক মোয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রামের সদরঘাট থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে শুক্রবার (৩ জুন) আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, ১৬ বছরের এক ছাত্রী বিগত ৩ মাস ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডাক্তারের চিকিৎসা করান তার বাবা। পরে হাজী নসু মালুম মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. আশিকুল ইসলাম (৩৪) তার মেয়েকে ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রস্তাব দেয়।
এতে তিনি রাজি হন। গত ২ জুন ওই ছাত্রীকে বাসায় দেখতে যান আশিকুল। দ্রুত চিকিৎসা না করালে ৩ দিনের মধ্যে রোগী মারা যাবে বলে জানান তিনি মেয়ের বাবাকে। চিকিৎসা খরচ বাবদ দাবি করেন ২১ হাজার টাকাও।
ভয় পেয়ে চিকিৎসার জন্য আশিকুলকে প্রথমে ১০ হাজার টাকা দেন মেয়েটির বাবা। এরপর ঝাড়ফুঁকের চিকিৎসা শুরু করেন আশিকুল।
একপর্যায়ে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে রুমের মধ্যে একা রেখে ওই মেয়েকে চিকিৎসা করতে হবে বলে জানান তিনি।
ঝাড়ফুঁকের নামে চিকিৎসার একপর্যায়ে বৈদ্য আশিকুল ইসলাম মেয়েটির স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌননিপীড়ন করে। এতে ওই ছাত্রী চিৎকার করলে এগিয়ে আসে আশপাশের লোকজন। তারা আশিকুলকে বৈদ্যকে আটক করে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল দেন।
খবর পেয়ে সদরঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বৈদ্যকে থানায় নিয়ে আসেন।
আশিকুলের বাড়ি বাঁশখালীর সরল ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ মাস্টারের বাড়ি। তার বাবার নাম হাবীবুল আলম।
আশিকুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সদরঘাট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।