বোয়ালখালীতে বন্ধুর সামনে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ জুন) সকালে ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্কুলছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে লাইব্রেরি গিয়ে বই পরিবর্তন করে বাসায় আসে। পরে তার বন্ধু আলমগীরের সঙ্গে দেখা করার জন্য গোমদন্ডী ফুলতল এলাকায় যায়। এরপর তারা রিকশা করে পেতন শাহ মাজারের দিকে যায়। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পূর্ব পরিচিত এমরান ওরফে সাগর ও সানাউল্লাহ আলী ওরফে রিমন তাদের রিকশার গতিরোধ করে।
এরপর এমরান রিকশায় জোর করে উঠে তাদের প্রথমে বোয়ালখালী ফায়ার সার্ভিস এলাকায় নিয়ে যায়। পরে রাতে সিএনজি অটোরিকশা করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে রাত ২টার দিকে শাকপুরা এলাকায় গিয়ে এমরান ও তার বন্ধুরা আমার মেয়েকে সিএনজি গাড়ির ভেতর পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ সময় তারা আলমগীরের গলায় ছুরি ধরে আটকে রাখে। এরপর আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা আলমগীরসহ সিএনজিতে তুলে আমার বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত চলে যায়। পরে আমি গিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করি এবং সে বিস্তারিত ঘটনা আমায় খুলে বলে।
থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বোয়ালখালী পৌরসভার পূর্ব গোমদণ্ডী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলাউদ্দীন হাজি বাড়ির মো. বাদশা মিয়ার ছেলে এমরান হোসেন ওরফে সাগর (১৯), পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ রুস্তম আলীর ছেলে সানিউল্লাহ আলী ওরফে রিমন (২০) ও পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চান মিয়া সওদাগর বাড়ির মোহাম্মদ কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. কামাল উদ্দিনকে (২৬) গ্রেপ্তার করে।
আরেক আসামি কধুরখীল নাপিতেরঘাটা এলাকার সায়মন (২৪) এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রোববার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।’