বাগেরহাটে স্কুল থেকে বাসায় ফিরে বাবার সঙ্গে বেড়াতে যাবে বলে সাজগোজ করে বসে ছিল সংগীতা ঋষি নামে (১০) বছরের এক শিশু। তবে যেতে না পেরে অভিমান করে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সংগীতা।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের পূর্বমাথায় এ ঘটনা ঘটে। সংগীতা রায়েন্দা ভাষাণী কিন্ডারগার্টেনের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। বাবার নাম স্বপন ঋষি।
নিহতের মা নমিতা রানী ঋষি বলেন, সংগীতা স্কুল থেকে বাসায় এসে ওর বাবার সঙ্গে বেড়াতে যাবে বলে সাজগোজ করে বসে ছিল। কিন্তু ওর বাবা ওকে না নিয়ে রাজাপুরে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর ওকে আমরা ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখি।
প্রতিবেশীরা জানান, স্বপন রিশির এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সংগীতা খুব আদরের ছিল। এদিন স্কুল থেকে বাসায় এসে সবার সঙ্গে কথা বলে। তখন বেড়াতে যাবে বলে সাজগোজ করে বসেছিল। কিছুক্ষণ পর শুনি ওর মায়ের কান্নাকাটি। গিয়ে দেখি আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে সংগীতা। তারপর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আশফাক হোসেন বলেন, শিশুটিকে হাসপাতালে আনার পর কোনো পালস পাওয়া যায়নি। পরে ইসিজি করে মৃত ঘোষণা করা হয়।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম হোসেন বলেন, সংগীতা নামে ১০ বছরের একটি শিশু আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।