মিনিকেট ও নাজিরশাইল বলেই কোনো চাল নেই। তাই এসব নামে চাল বিক্রি অবৈধ। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, নতুন নতুন কোম্পানি মিনিকেট ও নাজিরশাইলের প্যাকেট করে চড়া দামে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বয়ং কৃষিমন্ত্রী।
অন্য চালের চেয়ে শরীরটা চিকন, গায়ের রং অপেক্ষাকৃত ফর্সা, নাম মিনিকেট চাল। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত চালের একটি মিনিকেট। অথচ এ নামে কোনো ধানই নেই।
একইভাবে দেশে নাজিরশাইল ধান আবাদ না হলেও বাজার ভরপুর নাজিরশাইল চালে। তাহলে প্রশ্ন, এই জাতের ধান না থাকলে চাল পাওয়া যায় কিভাবে? উত্তর দিলেন খোদ খাদ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার, রাজধানীতে জাতিসংঘের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সম্মেলনে শেষে তিনি জানান, মিলগুলো নিজেদের ইচ্ছে মতো কেটে, মিক্স ও ওভারপলিশ করে নানা নামে বাজারে আনছে।
আর সম্মেলনের শেষ দিনে উপস্থিত থাকা কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানালেন, নতুন নতুন কোম্পানি মিনিকেট ও নাজিরশাইলের প্যাকেট করে চড়া দামে বিক্রি করছে।
তিনি জানান, দেশের ধানের মাঠ আর বাজার সয়লাব থাকে ব্রি ধানে, কিন্তু বাজারে ব্রি চাল নামে কোন চালের অস্তিত্বই নেই।
মুনাফার জন্যই তামাকসহ বিভিন্ন কোম্পানি চালের ব্যবসায় যুক্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি। মোটা চালের দাম বাড়েনি বলেও দাবি করেন কৃষিমন্ত্রী।
সম্মেলনে বাংলাদেশে আগামী দুই বছরের জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থা এপিআরসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। চারদিনের সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বেশ কিছু করণীয় ঠিক করা হয়েছে।