সংবাদপত্রে চাকরির বিজ্ঞাপন নজর কারে চাঁদপুরের মো. কাউছার হামিদের (২৭)। জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েই মোবাইল ফোনে জানতে পারেন তিনি চাকরির জন্য চূড়ান্ত হয়েছেন। চাকরিদাতার সঙ্গে ময়মনসিংহে দেখা করতে এসে দেখেন ভিন্ন রূপ। উঠিয়ে নিয়ে পিঠমোড়া করে বেঁধে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য চলে কাউছারকে লাঠিপেটা।
লাখ টাকা আদায়ের পর অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। পরে পুলিশের কাছে বিচারপ্রার্থী হলে অভিযান চালিয়ে চার ভাইয়ের এই চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি পুলিশের একটি দল। পরে শনিবার বিকেলে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করা হয়, তবে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।
গ্রেপ্তার চার ভাই হলেন- মো. শাহজাহান মিয়া (৪৫), মো. সাবিকুর রহমান শফিক মাস্টার (৩৪), মো. শামীম হাসান ও মো. সাইদুল ইসলাম (২৪)। তারা ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড়া মুন্সিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত সেকান্দর আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী কাউছার হামিদ জানান, চাকরির খুব প্রয়োজন হওয়ায় যাচাই-বাছাই ছাড়াই তিনি এসে ফাঁদে পড়েছেন। যাচাই ছাড়া যেনো কেউ এ ধরনের প্রতারকের ফাঁদে না পড়ে। তার সঙ্গে যে অপরাধ হয়েছে তার কঠোর বিচার চান তিনি।
এদিকে তার করা মামলায় চার ভাইকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ আদালতে সোপর্দ করা হয়। ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি। চার ভাই চক্রের হোতা শফিক মাস্টার বছর খানেক আগেও চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, বিভিন্ন সংবাদপত্রে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল শফিক মাস্টার। বছর খানেক আগে গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে বেরিয়ে আরও বড় পরিসরে শুরু করেছে প্রতারণা। চার ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত তথ্য বের করা হবে।