জামালপুরের মেলান্দহে ধর্ষণের পর শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনার প্রধান আসামি তামিম আহমেদ স্বপনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার ময়মনসিংহ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার দুপুরের সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪ এর জামালপুর ক্যাম্প কমান্ডার আশিক উজ্জামান জানান, অভিযুক্ত স্বপনকে আসামি করে শুক্রবার মেলান্দহ থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা।
এরপর রাতেই ময়মনসিংহের চরশা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে সে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হয় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী। এ সময় এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় তার সঙ্গীরা।
অভিমানে রাতে আত্মহত্যা করে মেয়েটি। পরে তার ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি কাগজ থেকে স্বপনের নাম জানা যায়।
উল্লেখ্য, আমি বেঁচে থাকলে তোমাদের সম্মান শেষ হয়ে যেতো। ও আমার সাথে খারাপ কিছু করেছে যা বলার মতো না। দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর সুইসাইড নোট এটি।
পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করার সময় সুইসাইড নোটটিও খুঁজে পায়। এতে নির্যাতনকারীর নাম উল্লেখ করে গেছে ওই শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ওই ছাত্রীর মুঠোফোন ও সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়।
ওই ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার ঘটনায় জড়িত তরুণের বিচারের দাবিতে শুক্রবার সকালে মেলান্দহ থানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন ওই ছাত্রীর স্বজন ও গ্রামবাসী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে সে বিদ্যালয় থেকে ফেরে। সন্ধ্যার পর নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তাকে ঝুলে থাকতে দেখেন স্বজনরা।
এরপর খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। শুক্রবার বিকালে মেয়েটির দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে পুলিশ।
ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, এভাবে আমার মেয়েটার জীবন যাবে, আমি ভাবতেই পারছি না। ওই ছেলের কারণেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
ওই ছেলের বিচারের কথাও বলেছে আমার মেয়ে। থানায় অভিযোগ দিয়েছি। ওই ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।