মাগুরার শ্রীপুরে সরকারিভাবে গভীর নলকূপ (সাব-মার্চেবল) স্থাপনে নিম্নমানের কাজের পাশাপাশি নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। টেন্ডারের মাধ্যমে উপজেলার ২০৮ টি ৪ ইঞ্চি গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ পান রাজবাড়ির নবাব কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান। সিডিউল অনুযায়ী কোন কাজই করছে না প্রতিষ্ঠানটি। কাজের মান নিম্নমানের হওয়ায় প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন স্থানে কাজ বন্ধ ও করে দিয়েছে তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজবাড়ি জেলার নবাব কনস্ট্রাকশন টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পেলেও কাজের তদারকি করেন মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের বিএস লেবার নূর ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই বহাল তবিয়তে এমন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের একজন বিএস লেবার হয়েও কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।
নলকূপ গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাজের কোন নিয়ম মানছে না প্রতিষ্ঠানটি। ইট, বালু ও সিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে না সঠিক পরিমাণে। উন্নতমানের ইটের বদলে দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের। উন্নতমানের পাইপ দেওয়ার ক্ষেত্রেও কোন নিয়ম মানা হয়নি। মোটরে বিদ্যুৎ সংযোগের সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম দেওয়ার নিয়ম থাকলেও দেওয়া হয়নি। কাজের এত অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগের পরেও নিরব উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস।
বারইপাড়া গ্রামের হাসেম মোল্যা বলেন, আমার বাড়ির নলকূপের কাজে ইট, বালু ও সিমেন্ট কম দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ করেছে। কাভারে গাজী মোটর লেখা থাকলেও ভিতরে আরএফএল মোটর দেওয়া হয়েছে। মোটরে বিশ্রী শব্দ হচ্ছে।
মাগুরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিসের বিএস লেবার ও কাজের দায়িত্বে থাকা নূর ইসলাম অস্বীকার করে বলেন, আমি চাকরি করি। আমি কাজের কোন দায়িত্বে নেই৷ কোটি টাকার সম্পদ গড়ার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান৷
এ বিষয়ে নবাব কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী নবাবের সাথে বারবার কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন অমি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত কাজের তদারকি করছি। এতগুলো কাজের তদারকি করাও খুবই কষ্টসাধ্য। কেউ অভিযোগ দিলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’