মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...
শিরোনাম :
আসাদুজ্জামান আসাদের যত ‘অপকর্ম’ শ্রীপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক ছাত্র নেতা মিজানুর রহমান মাগুরাবাসিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কাজী রফিকুল ইসলাম মাগুরাবাসিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাগুরা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আহম্মদ পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাগুরা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাকিব পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শরিয়ত উল্লাহ বঙ্গবন্ধু ল’টেম্পল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইন বদলি আবেদন শুরু শনিবার চট্টগ্রামে ১০ জুয়াড়ি গ্রেফতার

সন্তানের বয়স বাড়ে, তবু কষ্ট শেষ হয় না বৃদ্ধ মায়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২
  • ৩৩৯ বার পঠিত

এই বয়সে যেখানে সংসার করার কথা, সেখানে শুয়ে শুয়ে জীবন কাটছে তার। চলাচলে অক্ষম, পারেন না দাঁড়াতে। এক দিন নয়, দুই দিন নয়— এমন কষ্ট ৩৫ বছর ধরে। বৃদ্ধ মায়ের কোলে ভর করেই তাকে দেখতে হয় দুনিয়া।

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার পৌর এলাকার প্রতিবন্ধী যুবক মো. জুয়েল হাওলাদারের (৩৫) অবস্থা এমনটাই করুণ। তার বৃদ্ধ মা ফরিদা বেগমই এখন তার একমাত্র ভরসা।

পৌরসভার খাসমহল এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন ফরিদা ও তার ছেলে। ফরিদার আরও দুই ছেলে আছেন। একজন দিনমজুরি করেন, আরেকজন সুগন্ধা নদীতে ট্রলার চালান। অভাবের কারণে তারাও পুরো ভরণপোষণ দিতে পারেন না।

সন্তান সুস্থসবল ও কর্মঠ হোক, এ চাওয়া প্রত্যেক মা-বাবার। সন্তান বড় হবে, আয়-রোজগার করবে, মা-বাবা বৃদ্ধ বয়সে সন্তানের যত্নে থাকবে, এটাও মা-বাবার চাওয়া। কিন্তু উল্টো যন্ত্রণার বোঝা মাথায় নিয়ে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করতে হচ্ছে ফরিদা বেগমকে।

ফরিদার স্বামী আবদুল হক হাওলাদারের মৃত্যুর পর প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে তার পরিবার। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার খরচ জোগান তিনি। পৌরসভা থেকে সরকারি যে ভাতা পান, তা দিয়ে কোনো রকম চলে জোড়াতালির সংসার।

ফরিদা বেগম বলেন, বাবা, নিজের সন্তানের এমন করুণ অবস্থা দেখতে আর ভালো লাগে না। গর্ভের সন্তানকে কি আর ফেলে দিতে পারি? ৩৫ বছর ধরে আমার প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে এই কষ্ট।

তিনি আরও জানান, জন্মের চার বছর পর থেকে তার এ অবস্থার শুরু হয়। তার বাবা অনেক আগেই মারা গেছে। বর্তমানে মানুষের বাড়িতে কাজ করে ও সরকারি যে সহায়তা পাই, তা দিয়ে বাজার-সদাই ও বিদ্যুৎ বিল দিই। ২ হাজার ২০০ টাকা বাসাভাড়া দিতে হয়। এর আগে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ছেলের চিকিৎসা করেছি। কিন্তু কোনো কাজে আসেনি। যদি ছেলেটাকে ভালো কোনো চিকিৎসা করাতে পারতাম।

ফরিদার প্রতিবেশী শাহিন হাওলাদারের কাছে তাদের বিষয়ে জানাতে চাইলে বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নে। তা নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে নলছিটিতে বাসা ভাড়া থাকছে।

পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম দুলাল চৌধুরী বলেন, বৃদ্ধ ও তার ছেলে পৌরসভার বাসিন্দা হয়েছেন। তারা আসলেই কষ্টে জীবন যাপন করছেন। সরকারি সহায়তা যতটুকু সম্ভব তাদের দেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের বড় ধরনের কোনো সহযোগিতা দরকার।

নলছিটির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুম্পা সিকদার বলেন, আমি জানতাম না তারা ভাড়া বাসায় থাকেন। বৃদ্ধ ফরিদার সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। তিনি কখনো তার অভাব সম্পর্কে বলেননি আমাকে। তারপরও দেখি কী করা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs