জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর এলাকার বয়ারচর আদর্শ গ্রামে বশির পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী মমতাজ বিবিকে ডান গালে ও গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। পরে মৃতদেহ পাশের সয়াবিন ক্ষেতে রেখে বয়ারচর এলাকার গিয়ে স্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। রাতে বাড়ি ফিরে তিনি স্ত্রীকে খুঁজে পাচ্ছেন না বলে এলাকায় প্রচার করেন। বাড়ির লোকজন খুঁজতে খুঁজতে মমতাজের মৃতদেহ সয়াবিন ক্ষেতে পান। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাড়ির লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে দেন। ঘটনার পরদিন নিহত মমতাজ বিবির ভাই জসিম রামগতি থানায় বশিরের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও তিন/চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
হত্যা মামলার বাদী নিহত মমতাজের ভাই জসিম জানায়, বশির ২০০৬ সালে মমতাজ বিবিকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে হোসেন মোহাম্মদ (১৩) ও আপন (৮) নামে দুই সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বশির তার দ্বিতীয় স্ত্রী মমতাজ বিবিকে (৪০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে মৃতদেহটি পাশের সয়াবিন ক্ষেতে ফেলে রাখেন। এর আগেও বশির তার প্রথম স্ত্রী ফরিদা বিবিকে গর্ভে লাথি দিলে তিনি মারা যান। সে ঘরেও তার চার সন্তান রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের পিপি এডভোকেট জসিম উদ্দিন জানায়, ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি রামগতি থানা পুলিশ বশিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়। ঘটনার পর থেকে বশির কারাগারে বন্দি। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার তার উপস্থিতিতে এ রায় দেন আদালত।