শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৪:২১ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...
শিরোনাম :
আসাদুজ্জামান আসাদের যত ‘অপকর্ম’ শ্রীপুরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক ছাত্র নেতা মিজানুর রহমান মাগুরাবাসিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কাজী রফিকুল ইসলাম মাগুরাবাসিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাগুরা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আহম্মদ পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাগুরা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাকিব পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শরিয়ত উল্লাহ বঙ্গবন্ধু ল’টেম্পল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইন বদলি আবেদন শুরু শনিবার চট্টগ্রামে ১০ জুয়াড়ি গ্রেফতার

হাজার টাকা জমা রাখলে মাসে পেনশন ৬৫ হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৬৬১ বার পঠিত

সর্বজনীন যে পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে তাতে মাসে এক হাজার টাকা করে জমা করলে ৬০ বছর থেকে ৮০ বছর পর্যন্ত ২০ বছর প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৬৪ হাজার ৭৭৬ টাকা পেনশন পাওয়া যাবে।

এই পরিমাণ পেনশন পেতে সেই ব্যক্তিকে ১৮ বছর বয়স থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে এই চাঁদা জমা দিতে হবে।

বার্ষিক ১০ শতাংশ মুনাফা ও আনুতোষিক ৮ শতাংশ ধরে এই হিসাব করা হয়েছে।

কেউ ৮০ বছরের বেশি বেঁচে থাকলে তার ক্ষেত্রে হিসাবটা কত হবে, সেটি এখনও জানানো হয়নি। তবে তিনি যত দিন বেঁচে থাকবেন, ততদিনই পেনশন পাবেন। আর এই ৮০ বছর ধরা হয়েছে গড় আয়ুর হিসাব কষে। বর্তমানে দেশে গড় আয়ু ৭৩ বছর। ২০৭৫ সালে এটি ৮৫ হবে বলে ধরে নেয়া হয়েছে।

কেউ ৭৫ বছর বয়সের আগে মারা গেলে জমাকারীর বছর ৭৫ হওয়া পর্যন্ত তার নমিনি পাবেন এই পেনশন।

এই পদ্ধতিতে পেনশন পেতে আগ্রহীদেরকে প্রতি মাসে টাকা জমা করতে হবে। বেশি বছর ধরে টাকা জমা করলে পেনশনের পরিমাণ বেশি হবে। একজনকে সর্বনিম্ন ১০ বছর টাকা জমা করতে হবে।

১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল কর্মক্ষম নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবে; জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে নাগরিকরা পেনশন হিসাব খুলবেন। প্রথমে এটি স্বেচ্ছাধীন থাকলেও পরে বাধ্যতামূলক করা হবে। ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসিক পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন হবে।

কেউ যদি ৩০ বছর বয়সে টাকা জমানো শুরু করেন, এবং তিনি যদি মাসে এক হাজার টাকা জমান, তাহলে তার পেনশন কমে হবে ১৮ হাজার ৯০৮ টাকা। কেউ চাইলে এর চেয়ে বেশি চাঁদা জমা করতে পারবেন।

এটি একটি আনুমানিক হিসাব। প্রকৃত অবস্থা আইন ও বিধি প্রণয়ন এবং পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

যাদের পক্ষে এই পরিমাণ অর্থ জমানো সম্ভব হবে না, তাদেরকে আর্থিক সহায়তা করবে সরকার নিজেই।

পেনশন তহবিলে যে টাকা জমা পড়বে, তার বার্ষিক মুনাফা ১০ শতাংশ ও আনুতোষিক ৮ শতাংশ ধরে এই হিসাব করা হয়েছে।

  • পেনশন স্কিমে টাকা জমার হার নির্দিষ্ট নয়। কেউ তার সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা জমা করবে। নিম্ন আয়সীমা নিচের নাগরিকদের ক্ষেত্রে পেনশন স্কিমে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসেবে দিতে পারে। পেনশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের যে খরচ হবে, সেটি বহন করবে সরকার।

সবার জন্য পেনশন আওয়ামী লীগের গত আমলের চিন্তা। আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী থাকাকালে ২০১৭-১৮ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে তিনি একটি রূপরেখা দিয়েছিলেন। এ জন্য পাইলট প্রকল্পের কথা বলেছিলেন তিনি।

সর্বজনীন পেনশনকে মুহিত তার স্বপ্নের প্রকল্প উল্লেখ করলেও একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর আ হ ম মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর এ বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কাজ চলেনি।

তবে সরকারের নানা কাজ যে পর্দার আড়ালে হয়েছে, সে বিষয়টি স্পষ্ট হলো গত ১৭ ফেব্রুয়ারি। সেদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন’ বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেয় অর্থ বিভাগ।

এরপর প্রধানমন্ত্রী ষাটোর্ধ্ব জনগণের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রণয়ন এবং কর্তৃপক্ষ স্থাপনের নির্দেশ দেন। আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার আলোকে বিভিন্ন নির্দেশনার পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে আইন করার উদ্যোগ নিতে অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দেন তিনি।

পেনশনের জন্য নির্ধারিত বয়সসীমা পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত লভ্যাংশসহ জমার বিপরীতে নির্ধারিত হারে পেনশন প্রদেয় হবে। পেনশন স্কিমে জমা অর্থ কোনো পর্যায়ে এককালীন উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না। তবে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসাবে তোলা যাবে, যা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে।

তবে এই পেনশন কীভাবে দেয়া হবে, সে বিষয়ে সেই অনুষ্ঠানে কিছু জানানো হয়নি।

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অর্থমন্ত্রী।

কারা পেনশন তহবিলে টাকা জমাবেন এবং কী কী বিষয় থাকছে এতে

#১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সকল কর্মক্ষম নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবে; জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে নাগরিকরা পেনশন হিসাব খুলবেন।

#বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীগণ এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।

#সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের আপাতত নতুন জাতীয় পেনশন ব্যবস্থার বাইরে রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সরকার যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

#প্রাথমিক এ পদ্ধতি স্বেচ্ছাধীন থাকলেও পরে তা বাধ্যতামূলক করা হবে।

# ধারাবাহিকভাবে কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দিলে মাসিক পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন হবে।

# প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি আলাদা পেনশন হিসাব থাকবে। ফলে তিনি চাকরি পাল্টালেও পেনশন হিসাব অপরিবর্তিত থাকবে।

#এ পেনশন পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে কর্মী বা প্রতিষ্ঠানের চাঁদা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হবে।

নিবন্ধিত চাঁদা জমাকারী পেনশনে থাকাকালে ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে জমাকারীর নমিনি অবশিষ্ট সময়কালের (মূল জমাকারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন পাবেন। কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা প্রদান করার পূর্বে নিবন্ধিত চাঁদা প্রদানকারী মারা গেলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেয়া হবে।

#মাসিক সর্বনিম্ন চাঁদার হার নির্ধারিত থাকবে; তবে প্রবাসী কর্মীদের সুবিধার্থে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে চাঁদা জমা দিতে পারবে।

# সুবিধাভোগী বছরে ন্যূনতম বার্ষিক জমা নিশ্চিত করবে। অন্যথায় তার হিসাব সাময়িকভাবে স্থগিত হবে এবং পরে বিলম্ব ফিসহ বকেয়া চাঁদা পরিশোধের মাধ্যমে হিসাব সচল করা হবে।

# সুবিধাভোগী আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে চাঁদা হিসেবে বর্ধিত অর্থ (সর্বনিম্ন ধাপের অতিরিক্ত যেকোনো অঙ্ক) জমা করতে পারবেন।

# পেনশনের জন্য নির্ধারিত বয়সসীমা পূর্তিতে পেনশন তহবিলে পুঞ্জীভূত লভ্যাংশসহ জমার বিপরীতে নির্ধারিত হারে পেনশন প্রদেয় হবে।

# পেনশনারগণ আজীবন অর্থাৎ মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন;

# নিবন্ধিত চাঁদা জমাকারী পেনশনে থাকাকালে ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে জমাকারীর নমিনি অবশিষ্ট সময়কালের (মূল জমাকারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন পাবেন।

# পেনশন স্কিমে জমা অর্থ কোনো পর্যায়ে এককালীন উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না। তবে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জমাকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসাবে তোলা যাবে, যা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে।

# কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেয়ার আগে নিবন্ধিত চাঁদা প্রদানকারী মারা গেলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ তার নমিনিকে ফেরত দেয়া হবে।

# পেনশনের জন্য নির্ধারিত চাঁদা বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য করে কর রেয়াতের জন্য বিবেচিত হবে এবং মাসিক পেনশন বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আয়কর মুক্ত থাকবে।

#এ ব্যবস্থা স্থানান্তরযোগ্য ও সহজগম্য; অর্থাৎ কর্মী চাকরি পরিবর্তন বা স্থান পরিবর্তন করলেও তার অবসর হিসাবের স্থিতি, চাঁদা প্রদান ও অবসর সুবিধা অব্যাহত থাকবে।

# নিম্ন আয়সীমা নিচের নাগরিকদের ক্ষেত্রে পেনশন স্কিমে মাসিক চাঁদার একটি অংশ সরকার অনুদান হিসেবে দিতে পারে।

#পেনশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের যে খরচ হবে, সেটি বহন করবে সরকার।

# পেনশন কর্তৃপক্ষ ফান্ডে জমাকৃত টাকা নির্ধারিত নীতিমালা অনুযায়ী বিনিয়োগ করবে (সর্বোচ্চ আর্থিক রিটার্ন নিশ্চিতকরণে)।

ঘুষ লেনদেন: ডিআইজি মিজানের ৩ বছর সাজা, দুদকের বাছিরের ৮ বছর

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs