টেবিলের ওপরে থরে থরে সাজানো রয়েছে দেশীয় বিভিন্ন ফল। আম, কাঁঠাল, পেয়ারা, আনারস ও বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ড্রাগন ফলও রয়েছে এ তালিকায়।
ফল খাওয়ার উপকারিতা ছড়িয়ে দিতে নানা ফল নিয়ে উৎসবের এ আয়োজন করেছে জনপ্রিয় দুটি প্রতিষ্ঠান অ্যাগভেঞ্চার লিমিটেড ও সুখী এগ্রো পার্ক । মানিকছড়ির তিনটহরী ইউনিয়নের কুমারী বড় টিলার সবুজে ঘেরা পাহাড়ে নিজস্ব বাগানের বাছাইকৃত উন্নতমানের ফল সংগ্রহ করে থাকে প্রতিষ্ঠান দুটি। গাছপাকা ফলের কোন কমতি নেই তাদের বাগানে।
তীব্র গরমে একটু শীতল পরশ পেতে দর্শনার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন এই উৎসবে। অতিথিপরায়ণ এ প্রাঙ্গণ তাদের দখিনা বাতাসে পাকা ফলের সৌরভ দিয়ে বরণ করে নেয়। এতে উৎসব যেন পরিণত হয় মিলনমেলায়, অন্য রকম আনন্দের আমেজ বয়ে যায় সবার মাঝে। নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে এই ফল উৎসবে যোগ দেন বায়েজিদ থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল নবী লেদু।
ফল উৎসবে ছুটে আসেন মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিশুরাও।
অ্যাগভেঞ্চার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরিয়ম বেগম লাকীর সভাপতিত্বে ও সুখী এগ্রো পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: এনামুল হকের সঞ্চালণায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রক্তিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির সার্কেল এসপি.মোঃ কামরুজ্জামান,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাসিনুর রহমান , কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আফরাদ ,উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার নাথ,অ্যাগভেঞ্চার লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন বাঁধন, আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম রেজা শামীম,বায়েজিদ থানা হকার্সলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন,ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান মিয়া,সাবেক ছাত্র নেতা জুয়েল, সালাউদ্দিন,আবছার,সাবেক এজিএস শিবলু,আলমগীর,রোমান,বায়েজিদ থানা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম আহবায়ক বাবলুসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,দিন দিন ফল খাওয়ার প্রতি মানুষের অনাগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে এবং ফাস্ট ফুড আইটেমের প্রতি তারা ঝুঁকে পড়ছে। ফলে তারা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে তাদের ফল খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।
সুখী এগ্রো পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: এনামুল হক বলেন, তার বাগানের বড় আকর্ষণ থাই কাটিমন বারোমাসি আম । দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই আমের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। নিয়মিত কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে উন্নতমানের এই আম চাষ করে অনেকটা সফল তিনি। বর্তমানে তার আমের চারাও বাজারজাত করছেন। এছাড়া ড্রাগন ফল,আনারস,পেয়ারা,মাল্টা,লেবুসহ বিভিন্ন জাতের ফল উৎপাদনেও সফল হয়েছেন তিনি।
অ্যাগভেঞ্চার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরিয়ম বেগম লাকী বলেন, তার বাগানের ড্রাগন ফল চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক খ্যাতি ছড়িয়েছে। প্রতিটি গাছকে তিনি সন্তানের মতো পরিচর্যা করে বড় করে তুলছেন। তার বাগানের ফলে কোন ধরণের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়না । তাই এই ফল খুবই সুস্বাদু ও বাজারের ড্রাগন ফলের চেয়ে গুণগত মান অনেক বেশি।
অনুষ্ঠান শেষে বাগানের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ান দর্শনার্থীরা । চোখের সামনে পছন্দের ফল দেখে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হতেও দেখা যায় অনেককে।