হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চট্টগ্রাম বিভাগীয় চিকিৎসক প্রতিনিধি ফজলুল হক সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অসদাচরণের অভিযোগ থাকায় কলেজের ম্যানেজিং কমিটি থেকে অব্যহতি দেয়ার পাশাপাশি বোর্ড সদস্য পদ স্থগিত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রনালককে চিঠি দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক। এছাড়াও একইভাবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও চিঠি পাঠানো হয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে। তবে মন্ত্রণালয় কার্যত কোন ব্যবস্থা নেয়নি ফজলুল হকের বিরুদ্ধে।
তবে এবার তার বিরুদ্ধে জোরালোভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। গত ৬ নভেম্বর ডিএইচএমএস পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে জেলা প্রশাসক। ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষার পরিচালনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয় সেখানে। ওই আলোচনায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় চিকিৎসক প্রতিনিধি ফজলুল হক সিদ্দিকীর নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কথা উঠে আসে। এমনকি তিনি চট্টগ্রাম জেলার তিনটি হোমিওপ্যাথি কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে পরীক্ষা গ্রহণের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার আশংকাও প্রকাশ করা হয়। যে কারণে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ফজলুল হক সিদ্দিকীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তিনি যেন পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিভাগীয় চিকিৎসক প্রতিনিধি পরিচয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য কেন্দ্র সচিবদের নির্দেশনাও দেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।
এদিকে এর আগে গত বছর ডিএইচএমএস ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ফজলুল হক পরীক্ষা কেন্দ্রে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করলে দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাকে কেন্দ্রে প্রবেশে বাঁধা দেন। এরপর তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের মাঝে ভীতি ছড়িয়ে দেন। এমনকি সেসময় হোমিও প্যাথি কলেজ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়েও ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।