মাগুরার শ্রীপুরে হিন্দু-মুসলমানের প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় সুরঞ্জনা (১৭) এক কিশোরীর আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের চন্ডিবর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার পায়তারা করছে এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল। এমনকি ভয়ে হিন্দু ওই পরিবারের কেউই মুখ খুলছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার গয়েশপুর ইউনিয়নের চন্ডিবর গ্রামের বিপুল মণ্ডলের মেয়ে সুরঞ্জনার সাথে পাশ্ববর্তী সর্দার কালিনগর গ্রামের মো. আলী মণ্ডলেরে ছেলে মো. হিরু মণ্ডল (১৯) এর দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। হিরু মণ্ডল একজন সেনা সদস্য। বর্তমানে সে বরিশাল শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট এ সিগন্যাল কোরে কর্মরত আছে।
বুধবার ছুটিতে বাড়িতে এসে প্রেমিকার সাথে মোবাইলে কথা বলে রাতে প্রেমিকার বাড়িতে যায়। এ সময় প্রেমিকার বাড়ির লোকজন তাকে আটকে রেখে মারধর করে। পরে শ্রীপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রাতের এ ঘটনার পর সকালে ওই প্রেমিকা ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শষ্যা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবমতি হলে ফরিদপুর মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে হিরু মণ্ডলের পরিবারের লোকজন জানান, বাড়িতে কোন পুরুষ মানুষ নেই। হিরু মণ্ডল ঘটনার পরেই কর্মস্থলে যোগ দিয়েছে। এবং হিরু মণ্ডলের বাবা মো. আলী মণ্ডল বিশ্ব এস্তেমায় গিয়েছে। পরিবারের দাবি, ওইদিন এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে সুরঞ্জনার বাবা বিপুল মণ্ডল মুঠোফোনে বলেন, আমার সাথে এত বড় একটা ঘটনায় ও আমার কোন অভিযোগ নেই। আমি এতটুকুই চাই ওই ছেলে আমার মেয়ের কাছ সরে যাক।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাব্বারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে মেয়ে পক্ষের কেউ কোন অভিযোগ করেনি। কিন্তু তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেম সম্পর্কিত বিষয়টি স্বীকার করেছে।