আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইমনকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নোমান খালেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তানভির নামের ছেলেটি একটু ভালো আছে। তাঁদের সিটি স্ক্যান করার পর পরবর্তী চিকিৎসাপদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।
তানভিরের পাশে মেঝেতে একে একে শুয়ে আছেন আয়াত, সৈকত ও তৌকির। তাঁরা সংজ্ঞাহীন। সবার মাথায় ব্যান্ডেজ। এ ছাড়া হাত-পাসহ বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে তাঁদের। উদ্বিগ্ন স্বজনেরা ভিড় করেছেন শয্যাপাশে।
তানভিরের মা লাকী আকতার ছেলের শয্যাপাশে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। আস্তে আস্তে কথা বলছেন উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র হৃদয়। তানভির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে বেড়াতে গিয়েছিলাম খৈয়াছড়া ঝরনায়। আমরা পেছনে চারজন বসেছিলাম।’ লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান ছিল কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, গাড়িতে বমি হয় বলে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।