রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু নিহত হন। ঘটনাস্থলের পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরিন প্রীতি নামে বদরুন্নেসা কলেজের এক ছাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন টিপুর গাড়ি চালক মুন্না।
প্রত্যক্ষদর্শী, সিসিটিভি ফুটেজ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কিলিং মিশনটি চলে মাত্র দেড় মিনিট। একজন হামলাকারীর মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরে এসে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। মাত্র দেড় মিনিটে হত্যাকারী কিলিং মিশন শেষ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় টিপু।
এ বিষয়ে শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে শাহজাহানপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঠাকুর দাশ বলেন, খুব অল্প সময়ে কিলিং মিশনটি শেষ করে দুর্বৃত্তরা। তারা কিলিং মিশন শেষ করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। একজন হামলাকারীরা ১২ রাউন্ড গুলি ছুড়েন কিলিং মিশনে।
অন্যদিকে দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে উপস্থিত টিপুর বন্ধু মো. মিজানুর রহমান জানান, তিনি ঘটনার সময় টিপুর গাড়িতে ছিলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ দেড় মিনিট সময় ধরে হত্যাকারী গুলি ছুড়ে। এর পর দৌড়ে পালিয়ে যায়। গুলি লাগার পর টিপু কোনো কথা বলেনি। গুলি লাগার পর সঙ্গে সঙ্গেই সে মারা যায় বলে তখন তাকে দেখে বুঝতে পারলাম।
তিনি বলেন, আমরা যখন যানজটে পড়ি তখন এলোপাতাড়ি গুলি আসতে থাকে আমাদের দিকে। তবে কে গুলি ছুড়ছিল তা আমরা দেখিনি। টিপু ভাই চালকের পাশে বসা ছিলেন, আমরা পেছনে ছিলাম দুই জন। শুধু বৃষ্টির মতো গুলি আসছিল, আমরা কিছু বুঝতে পারেনি কাউকে চিনতেও পারেনি। গাড়ির দরজার গ্লাসের ওপর দিয়ে গুলি ছুড়া হয়, গুলি গ্লাস ভেদ করে জাহিদুলকে বিদ্ধ করে। এ সময় গাড়ির চালক মুন্নার হাতেও গুলি লাগে। তখন মুন্না এক হাতে গাড়ি চালিয়ে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে যায়, পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসি।