নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ও দুর্নীতি-দুঃশাসনের প্রতিবাদে আগামী ২৮ মার্চ দেশব্যাপী হরতালের কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিবি-বাসদ নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোট। আর শুক্রবার (১১ মার্চ) এই কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে ‘চ্যানেল 24 অনলাইন’কে জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
এদিকে অতীত সময়ে হরতালের কর্মসূচিতে দেখা যায়, হরতালের মাত্র কয়েক দিন আগে কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু সিপিবি-বাসদ নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোট হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ২৮ মার্চ। ১৮ দিন আগে হরতালের কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত কী জন্য এবং কেন এতটা সময় নেয়া- এ বিষয়ে সাইফুল হক বলেন, আমরা সারাদেশে আমাদের কর্মসূচির ক্যাম্পেইন করব। দোকানে দোকানে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করব; সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলব। এ কারণে আমাদের সময়ের প্রয়োজন।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, পুরো মার্চ মাসজুড়ে আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। আমরা সেই সব কর্মসূচি পালন করছি। আবার সামনে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। এ কারণে আগামী ২৮ মার্চ হরতালের কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া। এছাড়া তারা জ্বালাও-পোড়াও-ভাঙচুরের রাজনীতি করেন না বলেও জানান তিনি।
এর আগে নয়টি বামপন্থী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত বাম জোটের নেতারা হরতাল কর্মসূচি নির্ধারণের বিষয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে হরতাল ছাড়াও লাগাতর বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। হরতাল কর্মসূচির সঙ্গে জোটভুক্ত দলগুলোর পাশাপাশি জোটের বাইরে থাকা বামদল ও প্রগতিশীল শক্তিকে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সাইফুল হক জানান, হরতাল ছাড়াও লাগাতর আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে পারস্পরিক আলোচনা চলছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় পুরানা পল্টনস্থ মুক্তি ভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের এই হরতালে বাম প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোসহ অন্যান্য দলের সমর্থন থাকতে পারে বলে জানা গেছে।