রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...
শিরোনাম :
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক ছাত্র নেতা মিজানুর রহমান মাগুরাবাসিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কাজী রফিকুল ইসলাম মাগুরাবাসিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাগুরা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আহম্মদ পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাগুরা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাকিব পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শরিয়ত উল্লাহ বঙ্গবন্ধু ল’টেম্পল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইন বদলি আবেদন শুরু শনিবার চট্টগ্রামে ১০ জুয়াড়ি গ্রেফতার চট্টগ্রামে চোরাই সিএনজিসহ গ্রেপ্তার ২ চট্টগ্রামে চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার ৪

শৈলকূপায় বিএড কোর্সের অজুহাতে বছরের পর বছর এক শিক্ষক অনুপস্থিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৬২ বার পঠিত

ঝিনাইদহের শৈলকূপার মীনগ্রাম কেরামত আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের রাজু আহম্মেদ নামে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিএড কোর্সের অজুহাতে বছরের পর বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বছরের পর বছর অনুপস্থিত থেকেও তিনি প্রতি মাসের বেতন-ভাতা উত্তোলন করেন।

মঙ্গলবার সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২০২২ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারিতে এনটিআরসি’র মাধ্যমে মীনগ্রাম কেরামত আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে রাজু আহম্মেদ নামে এক ব্যক্তি সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। যোগদানের কিছুদিন পরই বিএড কোর্সের জন্য তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। বিএড কোর্সের এক বছরের ছুটি গত ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে বিএড কোর্স সম্পন্ন করেন। এদিকে কোর্স সম্পন্ন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগদান করার কথা থাকলেও তিনি আজ অবধি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করেননি বলে জানা গেছে। অথচ তিনি নিয়মিতভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। তিনি সময় মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান না করায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট ১১ জন শিক্ষকের নামের তালিকা ন্যামপ্লেটে থাকলেও সহকারী শিক্ষক রাজু আহম্মেদের নাম ওই তালিকায় দেখা যাইনি।

মীনগ্রাম কেরামত আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর লিজা ও রিম্পা নামের দুই শিক্ষার্থী বলেন, রাজু আহম্মেদ নামে আমাদের একজন শিক্ষক আছে এটা আমরা শুনেছি। তিনি গত ২ বছরের মধ্যে এ বছরের জানুয়ারি মাসে আমাদের মাত্র দুই-তিন দিন ক্লাস নিয়েছেন। নিয়মিত ক্লাস না নেওয়ায় আমাদের লেখাপড়ার চরমভাবে ব্যাঘাত ঘটছে।

এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকায় তার সহকারী শিক্ষকেরা তাহার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, তিনি নিয়োগ প্রাপ্তির পর থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসেনি। এবং এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা ও নেওয়া হয়নি।

মীনগ্রাম কেরামত আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি শরিফুল জোয়ার্দার বলেন, তিনি ২০২২ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পরই বিএড কোর্সের জন্য বিভিন্ন লোক মাধ্যমে ধরাধরি করে ছুটি নেন। ছুটির মেয়াদ শেষ হলেও বিভিন্ন অজুহাতে তিনি এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেননি। কেন যোগদান করেননি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঢাকায় একটি কোচিং ব্যবসার সাথে তিনি জড়িত বলে আমি শুনেছি। এজন্যই হয়তো তিনি যোগদান করছেন না। আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে দ্রুতই তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করবেন বলে আমাকে জানিয়েছেন।

মীনগ্রাম কেরামত আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত কুমার মণ্ডল বলেন, তিনি বিএড কোর্সের জন্য ছুটি নিয়েছেন। জানুয়ারি মাসে তার যোগদানের কথা থাকলেও মাত্র চারদিন তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসেছেন। নিয়মিতভাবে তাকে প্রতিষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সহকারী শিক্ষক রাজু আহম্মেদ এর সাথে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য তিনি বিভিন্ন লোক মারফত সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে শৈলকূপা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুলতান আলী জানান, এ বিষয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত কুমার মণ্ডল আমাকে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজু আহম্মেদের বিষয়ে মৌখিকভাবে অবগত করেছেন। আমি সরেজমিনে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs