মাগুরার শ্রীপুর থানায় এক প্রবাসীর টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মাহফুজ সর্দ্দার নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে এক মালয়েশিয়া প্রবাসী। গত (২২ নভেম্বর) বুধবার বিকেলে ওই প্রবাসীর বাবা তৈয়ব আলী বাদী হয়ে এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাগুরার মহম্মদপুর সদর উপজেলার রায়পাশা গ্রামের শরিফুল ইসলাম পাঁচ বছর ধরে মালয়েশিয়া থাকেন। সেখানে থাকাকালীন শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের কোদলা গ্রামের মাহফুজ সর্দ্দারের সাথে তার পরিচয় এবং সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় মাহফুজ সর্দ্দার দেশে ফিরে আসে। পরিচয়ের সুবাদে দুই বছর আগে বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলে তিনি শরিফুলের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নেন। কিন্তু এ টাকা চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। এক সময় তিনি ৯ হাজার টাকা পরিশোধ করে। কিন্তু বাকি টাকা দিতে সময় নিতে থাকে। এক পর্যায় তার তালবাহানার মাত্রা বেড়ে যাই এবং সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেই। শেষ পর্যন্ত ওই প্রবাসী পাওনা টাকা ফেরত পেতে শ্রীপুর থানা পুলিশের দারস্থ হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রবাসী শরিফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমার কাছ থেকে দুই বছর আগে মাহফুজ ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলো। সেখান থেকে আমাকে মাত্র ৯ হাজার দিয়েছে। শেষমেশ কোন উপায় না পেয়ে আমার বাবা শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন৷ আমি চাই সে আমার টাকাটা দিয়ে দিক।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহফুজ সর্দ্দার মুঠোফোনে বলেন, তিনি মোশাররফ হোসেনের মাধ্যমে টাকা দিতে বলেছিলো আমি মোশারফের ছোট ভাই ফিরোজের কাছে সব টাকায় দিয়ে দিয়েছি। আমার কাছে সে কোন টাকা পাবে না।
এ বিষয়ে জানতে মোশাররফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মাহফুজ কোন টাকা দেইনি বলে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন।
এ বিষয়ে ফিরোজের কাছে জানতে চাইলে তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে। এবং তিনি নিজেকে আমলসার ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি দাবি করে কোন কথা বলতে রাজী হয়নি।
এ বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শরিফ জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমি তদন্ত করছি। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে তাদের থানায় ডেকে টাকা ফেরতের বিষয়ে বলেছি।