সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৮ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
Welcome To Our Website...
শিরোনাম :
পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাবেক ছাত্র নেতা মিজানুর রহমান মাগুরাবাসিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কাজী রফিকুল ইসলাম মাগুরাবাসিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাগুরা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আহম্মদ পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মাগুরা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাকিব পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শরিয়ত উল্লাহ বঙ্গবন্ধু ল’টেম্পল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল প্রাথমিক শিক্ষকদের অনলাইন বদলি আবেদন শুরু শনিবার চট্টগ্রামে ১০ জুয়াড়ি গ্রেফতার চট্টগ্রামে চোরাই সিএনজিসহ গ্রেপ্তার ২ চট্টগ্রামে চোলাই মদসহ গ্রেপ্তার ৪

ঋণ পরিশোধ করতে সন্তান বিক্রি করলেন বাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২
  • ৬৩৫ বার পঠিত

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চিকিৎসা খরচ না চালাতে পেরে জোবায়েরা আক্তার মিনা নামের ১৩ মাস বয়সি এক শিশু সন্তানকে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন এক দম্পতি।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিনার চাচা আবদুল্লাহ। অন্যদিকে বাবা বলছেন দত্তক দিয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়েছেন ১ লাখ টাকা।

এ ঘটনাটি ঘটেছে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন তিন নম্বর ওয়ার্ড ধেররা-বিলওয়াই গ্রামের ইউনুস মজুমদার বাড়িতে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে লোকজন জানাজানির পর ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান সন্তান বিক্রেতা বাবা মো.বশির ও মা আছমা আক্তার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (২১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ের মাধ্যমে রাজধানীতে নিঃসন্তান এক দম্পতির কাছে সন্তানকে এক লাখ টাকা বিক্রি করে দেন মিনার বাবা-মা। এ নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু হলে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

শিশুটির বাবা মো. বশির জানান, ২০১৬ সালে সিএনজিচালিত স্কুটারের চাপায় গুরুতর আহত হন তিনি। এরপর চিকিৎসাজনিত কারণে তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এখন তিনি টাকার অভাবে চিকিৎসা এবং ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। এছাড়াও তিনি অসুস্থতার কারণে আয়-রোজগার করতে পারছেন না।

তিনি বলেন, আমার সাড়ে তিন বছর ও ১৩ মাস বয়সী দুইটি কন্যাশিশু রয়েছে। টাকার অভাবে আমার চিকিৎসা, ঋণ পরিশোধ ও বাচ্চাদের খাবার কিনতে (ক্রয়) পারছি না। এদিকে অসুস্থতার কারণে কাজও করতে পারছি না। তাই ছোট মেয়েকে দত্তক দিয়ে দিয়েছি। বিনিময়ে তারা আমার চিকিৎসার জন্য ১ লাখ টাকা দিয়েছে।

শিশুটির মা আছমা আক্তার বলেন, মেয়ের জন্য পরান পড়ে (মায়া লাগে)। কিন্তু কী করবো, আমার স্বামীর চিকিৎসা দরকার। তিনি অসুস্থতার জন্য কোন কাজ কর্ম করতে পারেন না। তিনি সুস্থ থাকলে আমাদের খাওয়া-পড়া। তাই বাধ্য হয়ে মেয়েটারে দত্তক দিয়েছি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার (ওসি) ইনচার্জ মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য আমি একটি বিশেষ টিম ঢাকায় পাঠিয়েছে। তারা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে গিয়েছে। তিনি জানান, দত্তক নেয়ার কিছু আইনগত কিছু বিধান রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোমেনা আক্তার জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Developed By Bangla Webs