নীলক্ষেত থেকে চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট পর্যন্ত সড়কবাতি বন্ধ। আর ঢাকা কলেজের মূল ফটক থেকে সায়েন্স ল্যাব মোড় পর্যন্ত সড়কবাতি নিবু নিবু করছে।
সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পরপর দোকানদারদের একটি অংশ ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটের সামনে এসে দাঁড়ায়। সেখানে পুলিশের সদস্যরা দাঁড়িয়ে আছেন। কিছুক্ষণ পর সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের মূল গেটের ভেতর থেকে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল ছুড়তে ছুড়তে নিউমার্কেট-গাউছিয়া সংযোগ পদচারী-সেতুর দিকে যেতে থাকেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা দুইবার ধাওয়া দেন দোকানদারদের।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন রাত সাড়ে আটটার দিকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যখন হল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা শুনল, তখন তারা বিক্ষুব্ধ হয়। সবাই এসে আমার রুমের সামনে বিক্ষোভ করে। বিষয়টি এমন না যে আমি অবরুদ্ধ ছিলাম। আমি ক্যাম্পাসেই আছি সারা দিন।’
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ আরও বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত আছে হল ছেড়ে দিতে হবে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবে, এ জন্য তারা হলে রাতটা আছে। অনেকের বাড়ি দূরদূরান্তে। এ কারণে আমরা একটু স্লো আছি। কাল সকালের মধ্যে দেখি কী অবস্থা দাঁড়ায়।
শিক্ষার্থীরা আগামীকালের মধ্যেই হল ছাড়বেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যে সিদ্ধান্ত, সেটা আমরা বাস্তবায়ন করব।’